বঙ্গবন্ধু : তার নামে গর্জেছিলো বন্দুক, এখন গর্জায় তার কাঁধে

বঙ্গবন্ধু : তার নামে গর্জেছিলো বন্দুক, এখন গর্জায় তার কাঁধে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

নৃতত্ব বলে এই বদ্বীপের অধিবাসীরা শঙ্করজাত। তারা দিনেমার খালাসী, ইংরেজ নীলকর, মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মপ্রচারক ও দ্রাবিড়দের মিশ্র জিন বহন করে। ইতিহাস বলে এই জাতি একইসঙ্গে বীর ও বিশ্বাসঘাতক হতে পারে। গোলামীতে তাদের আপত্তি নাই বলে স্বাধীনতাও বেশীদিন সহ্য হয় না। ইতিহাস বলে এই জাতি সব অনাচারের জবাবে একদিন একাট্টা হয়ে রুখে দাড়িয়েছিলো জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু হুঙ্কার দিয়ে। ইতিহাস বলে এই জাতি তাদের জাতির জনকের হত্যা বিনা বিচারে মেনে নিয়েছিল। বর্তমান বলে এই জাতি আজও সেই অন্যায়ের শোকে বিবেককে প্রবোধ দিতে ঘাতকদের প্রচারণায় সায় দিয়ে যায়। আমার বিশ্বাস বলে তাদের অনুতাপ সেই মিথ্যের চাদরে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ যে ১৭টি লাশ পড়েছিলো ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের দোতলা বাড়িটিতে। আমরা শুনি (হ্যা, এ কথাটাই শুনবেন যে শোনা যায়) ওই লোকটা লুটেপুটে খাচ্ছিলো গোটা দেশটা। সোনার বাংলার সব সোনা তার ঘরে রেখে, দেশটাকে শ্মশান বানিয়ে রেখেছিলো এই স্বৈরাচারী একনায়ক। তার মৃত্যুতে শেয়াল-কুকুরও কাঁদেনি। সত্যিকারের স্বাধীনতা এসেছে তারপরই। যুক্তরাষ্ট্র-চীন-সৌদি আরব-পাকিস্তান আমাদের প্রিয় বন্ধুদেশগুলোর স্বীকৃতি মিলেছে। সাহায্যে সাহায্যে ভরে গেছে দেশ। নাহ এরপর এই দেশে অভাবে না খেতে পেয়ে কোনো মানুষ মরেনি। শীতের রাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের লুট করা কম্বল গায়ে দিয়ে শান্তিতে ঘুমিয়েছে গরীব মানুষ। ছেড়া জাল গায়ে বাসন্তীর কাপড়ের অভাব থাকেনি, সে জামদানী গায়ে পুকুরে ইলিশ মাছ ধরেছে। মসজিদে উলুধ্বনি দেওয়ার ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। এদেশ আবার মুসলমানরা ফিরে পেয়েছে। এই হত্যা, অতএব অনিবার্য ছিলো।

আমরা শুনেছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনার কৃতিত্ব ভুল নামকে দেওয়া হয়। এই কৃতিত্ব মওলানা ভাসানীর। অথচ তার কৃতিত্ব কেড়ে নিয়ে অপপ্রচার হয় তিনি শুধুমাত্র মাইকের সামনেই এসব কথা বলতেন। তিনি এই বাঙালী জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা কখনোই দেননি যা দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। দিলে এই দেশের মুক্তিপাগল জনতা তার পেছনেই থাকতো। যে দিতো তার পেছনেই থাকতো, তার নাম সলিমুদ্দি হলেও। কি না-হক কথা! শুধু এখানেই থেমে থাকেনি অপপ্রচারকারীরা। ভারতের ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানকে দ্বিখন্ডিত করার চক্রান্তে তারা আগেই হাত করে রেখেছিলো আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে। যে কারণে মহান রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে করা স্বাধীনতার ঘোষণার কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। উনার ঘোষনার তারিখ বদলে যায়। সেদিন বিদেশী পত্রিকায় ওঠে অন্য কারো নাম:

“The rebel leader Sheikh Mujib arrested.” The paper also added—“The radio Pakistan has declared that, Sheikh Mujib was arrested from his residence, within one hour after he declared the independence of Bangladesh.” (The Evening News, March 26, 1971: Headline news)

“The independence war has begun in East Pakistan. Pakistani soldiers started to crush Bangalee’s independence movement under the leadership of Sheikh Mujib. President Yahya Khan declared Sheikh Mujib the traitor of Pakistan. The declaration of the independent Bangladesh, in the name of Sheikh Mujib, came from a radio station named: “Voice of Bangladesh”. The radio also has issues an order to all Bangalees to follow orders only from the Sheikh Mujib, the leader of the independence.” (The Guardian- March 27, 1971)

“The leader of independence Sheikh Mujib has declared independence of Bangladesh and severe battle is in progress in the eastern part of Pakistan. President Yahya Khan has banned Awami League political party, declared Sheikh Mujib as the traitor of Pakistan and vowed to punish Sheikh Mujib for his crime. ” (The Times of London, March 27, 1971)

আর বিদেশী রাষ্ট্রনায়করা সেসব বিশ্বাস করে, তাকে তোয়াজ করে।

অথচ আমরা শুনেছি এই শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চেয়েছিলেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক ভাষণে যদিও ভন্ডামী করে বলেছেন : আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এ দেশের জনগণের মুক্তি চাই। কিন্তু আমরা শুনেছি এই ভাষণের শেষে উনি জিয়ে পাকিস্তান বলেছেন। অথচ সেই আশ্চর্য্য ষড়যন্ত্রকারীরা কি এক কৌশলে তার কোনো রেকর্ড রাখেনি। কত মানুষের কাছে আছে সেই রেকর্ডিং, বিদেশের কত লাইব্রেরীতে, কত মিডিয়ায় আছে সেই ভাষণের ফুটেজ। কিন্তু জাদু দিয়ে তারা জিয়ে পাকিস্তান কথাটা ঠিক মুছে দিয়েছে। আমরা শুনেছি এই লোক আত্মসমর্পণ করেছেন পাকিস্তান আর্মির কাছে। তার মানে কি? নিশ্চয়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইলে সে তার দলের অন্যদের মতো পালাতো। ভারতে গিয়ে যুদ্ধ করতো দেশের স্বাধীনতার জন্য। অথচ অপপ্রচারকারীরা যুক্তি দেয় শেখ মুজিবের জীবনে পালানোর কোনো ইতিহাস নাই। পালানো কাকে বলে এই লোক জানতো না। জানলে একাত্তরের মতো ‘৭৫এও নির্ভয়ে মুখোমুখি হয় না ঘাতকদের। কি হাস্যকর যুক্তি। বলে পূর্ব পাকিস্তানের ২৪ বছরে ১৪ বছর তাকে জেল খাটতে হয়েছে, জেলে পাঠিয়েছে প্রতিটি শাসক। উপরের রিপোর্টে ইয়াহিয়া নিজে তাকে পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। এরা আবার গণহত্যার (এটা আওয়ামী লীগের দাবি) নায়ক পাকিস্তানী জেনারেল টিক্কা খানকে ভাড়া করে। আর সেই কসাইটা বলে : “I knew very well that a leader of his stature would never go away leaving behind his countrymen. I would have made a thorough search in every house and road in Dhaka to find out Sheikh Mujib. I had no intention to arrest leaders like Tajuddin and others. That is why they could leave Dhaka so easily.” Then Tikka Khan said more in a very firm voice, “in case we failed to arrest Sheik Mujib on that very night, my force would have inflicted a mortal blow at each home in Dhaka and elsewhere in Bangladesh. We probably would have killed crores of Bangalees in revenge on that night alone.” (Interview by Musa Sadik, which took place in 1976 when Gen. Tikka Khan was the then Governor of Punjab, Published in the ‘News From Bangladesh’ on march 28, 2000)

তারা ২৩ মার্চের ভিডিও দেখায়। বলে যুদ্ধশুরুর দুদিন আগে ধারণ করা এই ভিডিওতে নাকি প্রমাণ আছে বঙ্গবন্ধূ আসালে কি চেয়েছিলেন 

আমরা শুনেছি স্বাধীনতার নামে আসলে বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছিলেন শেখ মুজিব। যদিও তার দোসররা আবারও অপযুক্তি দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার প্রয়াস পায়। বলে হাতের কাছেই ইরাক আর আফগানিস্তান প্রমাণ। মার্কিন সেনারা এখনও সেখানে আছে। অথচ বন্দীদশা থেকে দেশে ফিরে দু মাসের মধ্যেই সর্বশেষ ভারতীয় সেনাটিকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করেন ইন্দিরা গান্ধীকে। এখানেই শেষ নয়। তারা আরো বলে লন্ডন থেকে বিমানে দিল্লী হয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। ইন্দিরা তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতীয় বিমানে চড়ে ঢাকা যেতে। সেই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মুজিব। এসবে কিছুই প্রমাণ হয় না। আমরা শুনেছি ২৫ বছরের দালালী চুক্তি করে ফারাক্কার নামে বাংলাদেশের গোটা উত্তরাঞ্চল মরুভূমি বানানোর সফল চক্রান্ত করেছিলেন এই শেখ মুজিব। এমনই কঠিন ছিলো সেই চুক্তি এরপর কোনো সরকারই পারেনি তা থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে। এমনকি চুক্তি শেষ হওয়ার পরও নয়। অন্তত এই কারণেই তার হত্যাকান্ডকে জায়েজ বলে মেনে নেওয়া যায়।

আমরা শুনেছি এই দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে কাফের বানানোর চক্রান্ত করেছিলেন মুজিব। তার কারণে বাংলার সমর্থ মুসলমানরা হজ্জ্ব করতে পারেনি তিন-তিনটি বছর। মসজিদগুলোতে পুজা-অচর্না করার বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেছিলো তার দল। অথচ তার তাবেদাররা সংবাদপত্রের রেফারেন্স দেয় (তাও আবার ব্রাক্ষন্যবাদী ভারতের) : “The Bangladesh pilgrims to Mecca had a hard time this year. They were forced to call themselves East Pakistanis and even fly the Pakistani flag. The Saudi Arabian Government had made it clear that if they refused, they would not be able to make the pilgrimage.” (The Statesman, New Delhi, 20 February 1974). আবার অজুহাত দেয় গোলাম আযমের। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন আহমদ ১৯৭৪ সালে লেখেন : Our Ambassador in Cairo Mr. Ataur Rahman and Justice A S Choudhury, Special Representative in Geneva, had established contacts with Saudi authorities but without success. It was reported that Jaamat leaders, including Golam Azam, had considerable influence on King’s advisers who misinterpreted to King the word ‘secularism’ in the constitution of Bangladesh. They implied that secularism meant anti-religion. However, they forgot to mention that both Indonesia and Turkey had incorporated ‘secularism’ in their constitution but Saudi Arabia had no problems with them.

এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কোনো কথা? বরং আমরা শুনেছি তার মৃত্যুর পরই এই বাংলাদেশে সত্যিকার ইসলামের কায়েম ঘটে। ইসলামী দলগুলো আবার রাজনীতি করার সুযোগ পায়। নিজেই রাজাকারদের ক্ষমা করে আবার ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে তার দেশে ফেরায় বাধা দেয়। এসব ভন্ডামি দূর করতেই প্রেসিডেন্ট খন্দকার মুশতাক আহমেদ দেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে দেন। গন্ডগোলের এতদিন পর আবার মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার বিভেদ কিসের? তাছাড়া জিয়ার চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা এসেছিলো আমাদের দেশের ক্ষমতায়?

আমরা শুনেছি বাকশাল নামে আজব একটা নীতি নিয়ে দেশটাকে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলার পরিকল্পনার কথা। সংসদে আবার এর পেছনে হাস্যকর যুক্তিও উত্থাপন করেছিলেন এই লোক : “Our Constitution had given the right to change the government through the ballot. This right we had granted. … They then said that this government should be overthrown by force of arms. They have collected arms openly. After the independence of Bangladesh, it has become a hotbed of international clique. Money flows in here and people are offered that money. Here certain elements become agents of foreigners.…. Twenty-seven thousand people died of starvation. Even now people are suffering from hunger. They have no clothes on their body. Honourable Mr. Speaker, I had told this house one day that we wanted democracy of the exploited in order to remove the sufferings of these people — not the democracy of those who rob money under cover of darkness, who are big moneyed men, who get money from other countries to buy votes. What we wanted is the democracy of the exploited. That is why the Constitution had to be changed to-day.

It pains me because, together with the amendment to the Constitution, you have made me the President. I had no dearth of power. You have given me all the powers as the Prime Minister had two-thirds majority in the House; yet you have amended the Constitution and made me the President. Mr. Speaker, we have brought about a fundamental change in the Constitution. Because a well-ordered administration must be introduced in the country. It is a new endeavour. I want to say: this is our Second Revolution. This Revolution means bringing a smile on injustice? … Come forward to work, the door is open to you all.

All those who believe in the principles of the Constitution, should defend the Constitution. Come forward to work, defend and save the country. Save the people and remove their misery. And root out the corrupt elements, the bribe-takers and the smugglers.” The amendment empowered the President to constitute one-Party which was named ‘Bangladesh Krishak Sramik Awami League (BAKSAL)’.

আর তার পক্ষ নেয় কিনা সাবেক তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মতো লোক! “Sheikh Mujib, the founding father of the country, initially attempted to run a parliamentary style democracy, but faced armed resistance from various factions of leftists and trade union groups. By the Fourth Amendment of the Constitution he introduced one- party system and called it as the Second Revolution for the amelioration of the have-nots. He is reported to have told Chief Justice Abu Sadat Mohammad Sayem in February/March, 1975 that the Fourth Amendment was a temporary measure and that he would, in course of time, restore the Constitution as it was before that amendment. Unfortunately, he had not had the luck of Julius Niyerere whom he, it appears, tried to emulate. He was assassinated along with almost all of his extended family by a group of junior military officers on August 15, 1975.” (The Daily Star 14-1-2005).

কি অদ্ভুত কথা! তার অনুসারীরা যুক্তি দেয় ১৯৭৪ সালে গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফিতির (এমন কি গ্রেট ব্রিটেনও) শিকার হয়েছিলো। তার প্রমাণ দেয় চীনাপন্থী বাম এবং জাসদের গণবাহিনীর সন্ত্রাসের। এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগে তাতে কিছু পত্রিকার ইন্ধন জোগানোর। সব বাকোয়াস। আমরা জেনেছি রক্ষীবাহিনীর হাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কথা। গোলাগুলিতে ও বোমাবাজিতে হাজার তিনেক আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাধারণ মানুষ মরেছে শোনা যায়। বিপ্লবে অমন এক-আধটু ক্যাজুয়ালটি ঘটেই থাকে। অথচ আমরা শুনেছি গোটা দেশটা লুটেপুটে খেয়েছে শেখ মুজিবুর ও তার অনুসারীরা। শুনেছি তার ঘরের মহিলাদের শাড়ি স্কার্ট হয়ে যেতো কোমরে টাকা গুজে গুজে। তার ছেলেরা ছিলো ব্যাঙ্ক ডাকাত। অথচ তার অনুসারীরা প্রমাণ খোজে। যা সারাদেশের সব মানুষ জানে, তার প্রমাণ খোজে হাহাহা। বলে কিনা ১৫ আগস্টে কতজন মানুষকে মেরেছে তার তালিকা তো করেছো, এবার তাদের লুটপাটের হিসাব দাও। বলে এরশাদের, তারেক জিয়ার বিদেশী ব্যাঙ্কে হাজার কোটি টাকার হিসেব মিলেছে। বঙ্গবন্ধুর বা তার সঙ্গে নিহত কোনো এক সদস্যের এরকম হিসাব দাও। কোন ব্যাঙ্কে কতটাকা পেয়েছো। হাস্যকর যুক্তি। নিশ্চয়ই এগুলো মাটির নিচে সিন্দুকে করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো, খুঁজলে ঠিকই পাওয়া যেতো।

আসলে এসব অপপ্রচারকারীর সঙ্গে যুক্তিতে পারাও কঠিন। তারা তাদের প্রভু এবং সঙ্গীদের ছাপানো কাগজপত্র, নথি নিয়ে আসে। আরে বাবা আমরা তার মৃত্যুতে খুশী, এখন এসব কাগজ দেখিয়ে লাভ নেইরে। আমরা যা শুনি, তাতেই আমাদের ঈমান। এসব নিজেরা লেখোনি তার প্রমাণ কি? আছে কোনো? তাই এসব ছেদো কথায় বিবেক জাগানোর চেষ্টা হাস্যকর। বিবেকের চেয়ে ঈমান বড়। আমাদের গুরুজনেরা আমাদের সঙ্গে নিশ্চয়ই মিথ্যে বলেনি। কারণ আমরা শুনেছি তারা আওয়ামী লীগ করতেন, মুক্তিযুদ্ধও করেছেন।

হায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তোমার নামে একটা দেশ স্বাধীন হয়। আর আজ তোমার ঘাড়েই বন্দুক রেখে জায়েজের চেষ্টা চলে সব অপকাণ্ডের। একমাত্র পিতাই পারে সন্তানের সব অত্যাচার এভাবে সয়ে যেতে। হাসিমুখে। মৃত্যুতেও সে হাসি ম্লান হয় না।