আমাদের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিলো তিব্বতীরাও!

আমাদের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিলো তিব্বতীরাও!

প্রাককথন : 

খবরটা খবর হয়েছিলো চমকপ্রদ কারণে । বেইজিং অলিম্পিয়াড উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লীতে অলিম্পিক মশাল আসার পরের ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা অফিসার মিডিয়াকে জানালেন ভারতের অন্যতম সেরা এক কমান্ডো ফোর্সের সদস্যদের নজরবন্দী রাখা হয়েছে। এমনকি একজনের সঙ্গে অন্যজনের কথাবলাও নিষেধ। সর্বশেষ এমন ঘটেছিলো ইন্দিরা গান্ধীর আমলে- অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের পর। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিখ সদস্যদের তখন চোখে চোখে রাখা হয়েছিলো। আর ২০০৮ সালের এই ঘটনায় আলোচ্য ইউনিটটির নাম স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ)। মূলত চীনা সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশপালানো উদ্বাস্তু তিব্বতীরাই এই বিশেষ বাহিনীর সদস্য। অলিম্পিক মশালের নিরাপত্তা দিতে একটি চীনা কমান্ডো ইউনিট ভারতে আসছে- এই খবরে তিব্বতীরা জাতীয়তাবোধে আক্রান্ত হয়ে কোনো দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই ওই নজরদারীর সিদ্ধান্ত।

এবং এটি ছিল এক অপমানজনক সিদ্ধান্ত। পাক-ভারতের সংঘাতের ইতিহাসে এখনও নতুন পাতা হয়েই আছে কারগিল যুদ্ধ। আর তাতে বীরত্বের সঙ্গেই লড়েছিলো পার্বত্য ও জঙ্গলের লড়াইয়ে বিশেষ ট্রেনিং পাওয়া এসএফএফ। লড়েছিল ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধেও। কিন্তু ইতিহাসে তাদের সেই অবদান উপেক্ষিত হয়ে আছে কূটনৈতিক এক প্রটোকলের ফেরে। এই পোস্টটি সেসব বীর তিব্বতীদের অজানা কাহিনী নিয়ে, যা শেয়ার করে একজন বাঙালী হিসেবে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এসএফএফ নিয়ে কিছু কথা :

১৯৬২ সালের ১৪ নভেম্বর এই বিশেষ বাহিনীটির জন্ম। সে বছরই চীন ও ভারতের মধ্যে এক সীমান্তযুদ্ধ হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ (রিসার্চ এন্ড এনালিসিস উইং) সেদেশে আশ্রয় নেওয়া তিব্বতীদের নিয়ে গঠন করে এই প্যারামিলিটারি ইউনিটটি। সিআইএর সরাসরি তত্বাবধানে ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এসএফএফ চীনা সীমান্তে তাদের তৎপরতা চালাতে থাকে। দেরাদুনের অদূরে তিব্বতী উদ্বাস্তুদের শহর চাক্রাতায় গড়ে ওঠে এর সদর দপ্তর। সীমান্ত প্রহরার পাশাপাশি তিব্বত থেকে ‘বিশেষ লোকজন’ ভারতে নিরাপদে নিয়ে আসা, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং কম্যুনিস্ট চীনের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত চালানোর মিশনগুলোতেও তারা ছিলো বেশ সফল। র’এর প্রধান আরএন কাও এবং মেজর জেনারেল সুজন সিং উবান ছিলেন এসএসএফের দায়িত্বে।

এই উবানই মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর (স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনীরও) সংগঠন ও প্রশিক্ষনের দায়িত্ব পালন করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ কমান্ডের অধীনে নয় এসএফএফ, যার আরেকটি নাম হচ্ছে এস্টাবলিশমেন্ট টুয়েন্টিটু (উবানের সম্মানে, তিনি ব্রিটিশ ভারতে ২২ মাউন্টেন ব্রিগেডের কিংবদন্তী)। তাদের প্যারাট্রুপিং থেকে শুরু করে কঠোর কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয়। হিমালয়ের ওই উচ্চতায়, হিমাংকের নীচে তাপমাত্রায় এবং জঙ্গলের শিকড়পাতা খেয়ে লড়ার শিক্ষায় শিক্ষিত তারা। সুবাদেই গারুদ ও প্যারা কমান্ডোর মতো হাতে গোনা কয়েকটি স্পেশাল ফোর্সের মধ্যে কার্যকারিতা ও দক্ষতায় উপর দিকেই এদের অবস্থান। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এসএফএফ-এর অস্তিত্ব স্বীকার করে না! এর সদস্য নারী ও পুরুষরা অবসরের পর গোপন যাপনে চলে যান। প্রকাশ্যে থাকেন শুধুমাত্র দালাইলামার দেহরক্ষীর দায়িত্বে থাকারাই।

১৯৭১ সালে মেজর জেনারেল উবান যখন মুক্তিবাহিনী (পরে মুজিব বাহিনীর) বিশেষ প্রশিক্ষক হয়ে আসেন, তখন তার উপর একটি কঠিন দায়িত্ব বর্তায়। ‘অপারেশন ঈগল’ কোডনেমের এই মিশনটি ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামকে শত্রুমুক্ত করা যাতে ভারতীয় বাহিনীর জন্য চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা সহজ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে তখন অবস্থান করছিল স্বতন্ত্র (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) ৯৭ ব্রিগেড এবং পাকিস্তানী এলিট ফোর্স স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের থার্ড কমান্ডো ইউনিট। আর তাদের সহযোগী হিসেবে ছিলো ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের (ইপক্যাফ) চাকমা সদস্যরা এবং একটি মিজো ব্রিগেড। নভেম্বরে লড়াইয়ে নামে এসএফএফ। শুরু হয় দূর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তির লড়াই। অন্য নাম ‘অপারেশন মাউন্টেইন ঈগল’।

প্রসঙ্গ মিজো ব্রিগেড :

২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) জহিরুল আলম খান। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে কুমিল্লায় অবস্থানরত টু এসএসজি কমান্ডো ইউনিটের নেতৃত্ব ছিলো তার হাতেই। এপ্রিলের শুরুতে কাপ্তাই ড্যামের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে রাঙামাটি যান তিনি। রাঙামাটি পৌছেই চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের আনুগত্য আদায় করেন জহির। একইসময় সীমান্তের ওপারের মিজোরাম থেকে লালডেঙ্গার অনুগত বিদ্রোহী মিজোরা যোগাযোগ করে তার সঙ্গে। ৩ হাজার সাধারণ মিজোর জন্য প্রতিদিন একটন এবং যোদ্ধাদের জন্য মাথা পিছু এক পাউন্ড চালের বিনিময়ে তাদের সঙ্গে সহায়তার চুক্তিতে আসেন জহির। ৬০০ সশস্ত্র যোদ্ধার তিনটি ব্যাটেলিয়ন যোগ দেয় পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে। মহালছড়ি, মানিকছড়ি ও ফটিকছড়ি এলাকায় মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা দমন এবং সীমান্তরক্ষার জন্য এসএসজি কমান্ডোদের সঙ্গে এসব মিজো ব্যাটেলিয়ানকে কাজে লাগান জহির।

শুরুতেই তাদের তোপে পড়তে হয়েছিল জিয়াউর রহমানের বাহিনীকে। ১১ এপ্রিল কালুরঘাটের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। ২৭ এপ্রিল মহালছড়িতে আবার বাঙালী সেনাদের উপর হামলা করে পাকবাহিনী। আর তাদের সঙ্গী হয় দুটো মিজো ব্রিগেড। আক্রমনের ধরণটা ছিলো অমানবিক। এই অর্থে যে চীনা স্টাইলে মিজোদের মানব ঢেউ বানিয়ে একের পর এক আক্রমণে যেতে বাধ্য করা হয়। প্রতিবারই সেগুলো ব্যর্থ হয়। মুক্তিফৌজের গুলির সামনে টপাটপ ঝরতে থাকা মিজোদের পিছু হটার উপায় ছিলো না। কারণ পেছনে মেশিনগান তাক করে রাখা স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো পেছন ফিরলেই গুলি করা হবে বলে। রামগড়েও ঘটে একই ঘটনা। গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়া একসময় মুক্তিফৌজ সীমান্তের ওপারে চলে যেতে বাধ্য হয়।

‘অপারেশন মাউন্টেইন ঈগল’ :

এখানে একটি কথা জানিয়ে রাখা ভালো যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ থাকলেও এসএফএফ সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। উবান ব্যাপারটা জানতেন। জুনের শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিংয়ে কাজে লাগানো হয় এসএফএফকে। এবং ট্রেনিং পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদেরও বাংলাদেশে পাঠানো হয় ব্রিজ ওড়ানোসহ বড় অপারেশনগুলোয় সহযোগিতা করতে। প্রাসঙ্গিক কারণেই বলে রাখি যে এসএফএফের তৎপরতা সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারতো বটেই, ভারতীয় বাহিনীর উচুমহলেও কোনো ধরণের জানাজানি ছিলো না।

তখন পর্যন্ত চীন-ভারত সীমান্তে টহলদারীতে এবং গোটা কয়েক গোপন মিশনের দায়িত্বে ছিল স্বাধীন তিব্বতের স্বপ্ন দেখা এই বিদ্রোহীরা। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ করে ‘অপারেশন মাউন্টেইন ঈগল’-এ তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য রীতিমতো আবেদন করে একটি চিঠি লিখেছিলেন তখনকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাতে বলা হয় :

“We cannot compel you to fight a war for us,” Gandhi wrote, “but the fact is that General A A K Niazi [the Pakistan Army commander in East Pakistan] is treating the people of East Pakistan very badly. India has to do something about it. In a way, it is similar to the way the Chinese are treating the Tibetans in Tibet, we are facing a similar situation. It would be appreciated if you could help us fight the war for liberating the people of Bangladesh. (আমাদের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য আমরা আপনাদের বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ওপর জেনারেল নিয়াজী ভীষণ অত্যাচার চালাচ্ছেন। ভারতের জন্য এ ব্যাপারে কিছু করা জরুরী হয়ে পড়েছে। একদিক থেকে তিব্বতে তিব্বতীদের ওপর চীনাদের জুলুমের সঙ্গে ঘটনাটার মিল আছে, আমরা একই পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমরা খুশী হবো বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীন করার এই লড়াইয়ে আপনাদের যদি পাশে পাই)।

বার্তাটার কূটনৈতিক গুরুত্ব ছিলো, কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে তিব্বতের কোনো শত্রুতা ছিলো না। বরং বছর কয়েক আগেও সিআইএর সহায়তায় ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে মুক্তিকামী তিব্বতীরা। তবে নিক্সন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিআইএ অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ইন্দিরা গান্ধীর ডাকে সাড়া দেওয়াকে বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপায় মানে তারা।

যদিও প্রাথমিকভাবে এসএফএফকে ব্যবহার করে চট্টগ্রাম মুক্ত করার একটা তৎপরতা চালানোর পরিকল্পনা উবানের মাথায় এসেছিলো। কিন্তু সেটা কার্যকর করার মতো যথেষ্ট আর্টিলারি ও এয়ার সাপোর্ট দেয়ার ক্ষমতা তখন ছিলো না ভারতের। ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে আক্রমণ করার পর সেই ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় তারা। তবে ততদিনে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে তিন সপ্তাহের ওপর হয়ে গেছে তিব্বতীদের। অক্টোবরের শেষদিকে মিজোরাম সীমান্তের ডিমাগিরিতে জড়ো করা হয় তিন হাজার এসএফএফ কমান্ডোকে। ১৯টি নৌকায় করে শুরু হয় বৈরী দেশে অনুপ্রবেশের এই অভিযান। দীপন (তিব্বতী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) গিয়াতসু ধন্দুপের নেতৃত্বে ৬টি ব্যাটেলিয়ান তিনটি কলামে প্রবেশ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে।

ভারতীয় সম্পৃক্ততার চিহ্ন ঢাকতে তারা ব্যবহার করে বুলগেরিয়ান একে ফর্টিসেভেন এসল্ট রাইফেল। আর ছুরি। সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে পরে অবশ্য চারটি এমআই ফোর হেলিকপ্টার বরাদ্দ পায় তারা। দুর্গম জঙ্গল আর পাহাড়ে একের পর এক পাকিস্তানী চৌকি দখলে আনে তিব্বতীরা বুনো হুঙ্কারে। ক্লাসিক গেরিলা পদ্ধতিতে শত্রুর চোখে ধুলো দিয়ে তার পেছনে গিয়ে আক্রমণ করতো এসএফএফ। তবে শুরুটা তাদের শোকাহত ছিল। কমান্ডার দীপন ধন্দুপ যুদ্ধের শুরুতেই নিহত হন শত্রুর গুলিতে।

কাপ্তাই বাঁধ ধ্বংস, পার্বত্য চট্টগ্রামকে মিজোদের তৎপরতা থেকে মুক্ত এবং চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরির সেই মিশন সফলভাবেই সারে এসএফএফ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা যখন আত্মসমর্পণ করছে তখন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো তিব্বতী এই পাহাড়ি যোদ্ধারা। এর আগে দোহাজারী ব্রিজ ধ্বংস ও দখল করে বার্মায় পাকিস্তানীদের পালানোর পথ বন্ধ করে দেয় তারা। শত্রুমুক্ত চট্টগ্রামে প্রটোকল ভেঙ্গেই কুচকাওয়াজ করে এসএফএফ। এরপর তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর আগে ১৮ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা বন্দী করে ১ হাজার মিজো সেনা।

ভারতীয় সেনা আর্কাইভে তো বটেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেও চেপে যাওয়া হয়েছে তিব্বতীদের এই বীরত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ, বলা হয়েছে আগেই- প্রটোকল। এমনকি উবান তার ‘ফ্যান্টমস অব চিটাগং’ বইয়েও তেমন করে উল্লেখ করেননি। অথচ এই অনুরোধের লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন ৫৬ জন তিব্বতী (এক সাক্ষাতকারে উবান বলেছেন ৪৯ জনের কথা), আহত হয়েছেন ১৯০ জন। গোপন সামরিক অপারেশনের দোহাই দিয়ে পদকবঞ্চিতও করা হয়েছে তাদের। পুরষ্কার বলতে কিছু নগদ টাকা দিয়ে কাজ সেরেছে ভারত সরকার। আর বাংলাদেশও প্রবল পরাক্রম চীনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক লড়াইয়ের নিগঢ়ে আটকেছে এই ইস্যুতে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় এসএফএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক গোপন সাক্ষাতে বাঙালীর হয়ে কৃতজ্ঞতার দায়িত্ব সারেন।

শেষকথা :

আমাদের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই তিব্বতীরা এখন গোর্খাদের মতো ভাড়াটে যোদ্ধাই হয়ে আছে। অপারেশন ব্লু স্টার (অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দির অভিযান), কারগিলে সফলভাবে যুদ্ধ করে তারা উদ্বাস্তু হওয়ার ঋণ শুধিয়ে যায় রক্তের বিনিময়ে। আর স্বপ্ন দেখে যায়- একদিন নিজেদের স্বাধীন দেশে ফেরার। স্বাধীন তিব্বতে।

তথ্যসূত্র ও ছবি কৃতজ্ঞতা :

The CIAs secret war in Tibet
উদ্বাস্তু তিব্বতীদের ফোরাম
ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) জহিরুল আলম খানের সাক্ষাতকার